মমতার রাজ্যে চলছে হরতাল

মমতার রাজ্যে চলছে হরতাল

শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশি অ্যাকশনের প্রতিবাদে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের ডাকা ১২ ঘণ্টার হরতাল চলছে। রাজ্যটির রাজধানীসহ গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে এই হরতালে কমবেশি প্রভাব পড়েছে। তবে এখনোও পর্যন্ত অপ্রীতিকর কোনও ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

গত ১০ বছরে তৃণমূল সরকারের সময় স্কুলের শিক্ষক পদে চাকরি হয়নি, যা হয়েছে সেখানেও চরম দুর্নীতি হয়েছে। রাজ্যের বেকার সমস্যা প্রকট, পরিবেশ না থাকায় রাজ্য থেকে শিল্প অন্য রাজ্যে চলে যাচ্ছে। এসব দাবিতে বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) কলকাতার বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে নবান্ন অভিযান কর্মসূচি পালন করতে গেলেই পুলিশি বাধার মুখে পড়ে আন্দোলনকারীরা। 

ছাত্র সংগঠনগুলোর অভিযোগ, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি হলেও পুলিশ অতিউৎসাহ দেখিয়ে তাদের ওপর জলকামান ও লাঠিচার্জ করে। শুধু তাই নয়, নিক্ষেপ করা টিয়ার শেলও। ছাত্র সংগঠন গুলোর দাবি, এসবের কিছুই প্রয়োজন ছিল না।

বৃহস্পতিবার রাতে বামফ্রন্ট নেতা মহম্মদ সেলিম ও সুজন চক্রবর্তী আলাদাভাবে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আজকের ১২ ঘণ্টার বনধ বা হরতালের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। 

শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৬টা থেকে কর্মসূচি শুরু হয়। কলকাতার বেশকিছু জায়গায় হরতাল সমর্থনকারীদের তৎপরতা দেখা যায়। যেমন শ্যামবাজার, শোভাবাজার, বাঘাযতিন, যাদবপুর, নিউটাউট করুণাময়ী বাসস্ট্যান্ডের সামনে লাল ঝাণ্ডা নিয়ে বনধ সমর্থনের মিছিল হয়। পথে বসে অবরোধও গড়ে তোলেন বাম নেতারা। কোথাও জ্বালানো হয়েছে টায়ারও।

যাদবপুর বাসস্ট্যান্ডের সামনে দেখা গেছে শীর্ষ বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে মিছিল। সেখানে উপস্থিতি তিনি সাংবাদিকদের জানান, পুলিশ ভয় পেয়েই শান্তিপূর্ণ আন্দোলেনের ওপর হামলা চালিয়েছে। তৃণমূল সরকার পুলিশকে তাদের বাহিনী পরিণত করেছে।

তবে হরতালের বিমান পরিষেবা, হাওড়া কিংবা শিয়ালদাহ স্টেশনমুখী কিংবা ছেড়ে যাওয়া কোনও ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। তবে বেশকিছু স্টেশনে লোকাল ট্রেন থামিয়ে বাম-কংগ্রেসের নেতারা অবরোধ সৃষ্টি করেছিলেন। তবে সেটাও কিছু সময় পর স্বাভাবিক হয়ে যায়।

আপনি আরও পড়তে পারেন